ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর , জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত । এই বন্দরটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার আমপতি এর মহেন্দ্রগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতের সাথে রপ্তানি-আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়। এই বন্দরটি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত।[১] আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্যগুলির মধ্যে পাথর, আদা ইত্যাদি এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।[২] ২১ মে ২০১৫ সালে ধানুয়া কামালপুর শূল্ক স্টেশন কে স্থলবন্দর ঘোষণা করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
[সম্পাদনা]
ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের আয়তন প্রায় ১৮.৫ একর। এটি বকশীগঞ্জ-কামালপুর-রৌমারী সড়কে অবস্থিত। এটি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। সীমান্ত সংযোগে ভারতের মেঘালয়ের ওয়েস্ট গারো হিলস এর আমপতি এর মহেন্দ্রগঞ্জ এর সাথে সংযুক্ত।[৩] ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বন্দরটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। [৪] বকশীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে এ বন্দরের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার।
আমদানি-রপ্তানি:
এ বন্দর দিয়ে প্রধানত বোল্ডার স্টোন (পাথর) ও আদা আমদানি করা হয়। এ বন্দরের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলঃ কটন, নেট, শাড়ি, লুঙ্গি, পিভিসি ফ্লোরমেট, প্লাস্টিক, সিমেন্ট ইত্যাদি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এ স্থলবন্দর দিয়ে ২৪,৫৫২ মেট্রিক টন আমদানি ও ১৩২ মেট্রিক টন রপ্তানি হয়।
চলমান অবস্থা
[সম্পাদনা]
বন্দরটি দিয়ে পণ্য আমদানি - রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে ইমিগ্রেশন চালু না হওয়ায় এখনো যাত্রী চলাচল শুরু হয়নি। বন্দরটি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক) এর নিজস্ব তত্বাবধানে চালু আছে।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]